= ✓ (S + m)2 — \2 cos2 N = m ̧ m2 .. the time of the beginning of the eclipse T m M 10. Let S be the star in its diurnal circle, P the pole, and z the zenith; then if PS = 90 d .. the sum of the cosine of the zenith distances = cos d cos 1 Bengali Essay. সুকৃতি না করিলে কেহ প্রকৃতৰূপে সুখী এই জগত ব্ৰহ্মাণ্ড মণ্ডল মধ্যে সৰ্ব্ব জীবোৎকৃষ্ট মানব জাতি যে প্রকার পরম পরাপর পরমেশ্বরের অপার মহিমা প্রকাশ করে, অন্য কোন জাতিতে তদ্রূপে করে না ৷ আমাদিগের স্বীয় জাতির প্রতি নেত্রপাত করিলে পর সৃষ্টিকর্তার অনির্ব্বচনীয় এবং অগণ্য মহিমা সন্দর্শন পুরঃসর আমরা কৃতজ্ঞতা সাগরে মগ্ন হইয়া সদা সর্ব্বদা তাঁহার পুতি ভক্তি ব্যবসায়ে কালযাপন করি। দেখ অন্যান্য সৃষ্ট বস্তু মধ্যে সকলেই আত্মরক্ষার্থে পরমেশ্বর তাহাদিগকে বিবিধ প্রকার অস্ত্রাদি দান করিয়াছেন, সিংহ, শার্দুল মহিষ প্রভৃতি বিপুল বলপ্রাপ্ত হইয়া স্বারিদিগের হস্ত হইতে রক্ষা পাইতে পারে, বিহঙ্গমাদি বাত্যাশ্রয়ে উড়িয়মান শক্তি দ্বারা অর্পিত হইয়া মহাবীৰ্য্য শত্রুদিগের মুখ পতন ভয় হইতে পরিত্রাণ পাইতে পারে, মৃগ সকল দ্রুতগতি দ্বারা তাহাদিগের প্রাণ রক্ষা করিতে সমর্থ হয়, কিন্তু মানব জাতির এবন্তুকার কোন উপায়ই নাই তত্রাপি যে তাহারা সর্ব্ব সৃষ্ট বস্তু মধ্যে এমত প্রাধান্যতা প্রাপ্ত হইয়াছে যে মহাবল পরাক্রান্ত জন্তু ইত্যাদি তাহাদিগের সন্মখবর্ত্তি হইলেই পলায়ন করে এ কেবল সৃষ্টিকর্তার মহিমা মাত্র মানব সমূহের প্রাধান্যের মূল কারণ কি ? অত্র প্রশ্নের উত্তর এই যে তাহারা বুদ্ধি ও বিদ্যা এই দ্বিধনাধিকারি হইয়া পৃথিবীর সমস্ত বস্তুকে তাহাদিগের স্বকরতলে আনয়ন করিয়াছে। অন্য চত্তষ্পদি কিম্ব। দ্বিপদি জাতি মধ্যে এই দ্বিধনানোষণ করিলে প্রাপ্ত হওয়া যায় না । দেখ বুদ্ধি দ্বারা কতশত কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ হইতেছে ৷ মহা দুজ্ঞেয় বস্তু সকল কেবল বুদ্ধিদ্বারা প্রকাশিত হইতেছে । বিদ্যা স^হতি সন্মিলিত হইয়া বুদ্ধি যথার্থাযথার্থ বিবেচনা জ্ঞান করণৈক এক প্রধান কারণ হইয়াছে, পরমেশ্বরের কীর্ত্তি সকলের দ্বারা তাঁহার মহিমা ব্যাপক কারিণী বুদ্ধি মাত্র হইয়াছেন সত্য মিথ্যা বিবেচনা ও বিভন্নকারি প্রধান কারণ বুদ্ধি । ধৰ্ম্মাধর্ম্ম মধ্যে একের প্রধান্য এবং অন্যের ন্যূনতা, এক দ্বারা চরমে পরম পদার্থ লাভ এবং অন্যেতে মহান্ধীভূত দুরবগাহ নরকে প্রবেশ ইত্যাদি নানা বিধ কর্ম কেবল বুদ্ধির সাহাৰ্য ব্যতিত অন্য কোন বস্তুর দ্বারা অবগত হওয়া যায় না অতএব মানব জাতির প্রধানত্বের কারণ এই দ্বিবস্তু অতঃপরে ধর্ম্ম বিষয়ক । ধর্ম্ম দ্বি প্রকার হয় যথা সুধৰ্ম্ম এবং কুধৰ্ম্ম তন্মধ্যে শেষোক্ত প্রকার মানব জাতির সমস্ত দুঃখের প্রধান হেত্ত ৷ দেখ মলিম্ন চাচার, পরনিন্দা, মিথ্যাচরণ, পরধন হরণ, স্বজাতি মধ্যে কলহ, এবং একের সত্ব অন্যে বলপূর্ব্বক গ্রহণ করা, পরদার, ইত্যাদি নানা প্রকার আচরণ সমূহই কুধৰ্ম্মাভিধান ৷ পরোপকার, বিদ্যাদান, একের দুঃখে অন্যের আদচিত্ত হওয়া, পরমেশ্বরের প্রতি যথার্থ ভক্তি, ইত্যাদিকে সুধম্মাখ্যান দেওয়া যায় ৷ অতএব এই দ্বিপ্নকাররেই বিভিন্ন দোষ ও গুণ সমূহ বর্ণনা করিলে যে প্রকারে মানবদিগকে সুখি করে তাহা দেদিপ্যমান প্রতিত হইবেক কুধৰ্ম্ম মধ্যে মলিম্ন চাচারই প্রথমে বর্ণনা করা যাইতেছে পৃথিবী মণ্ডলে সকলেই আত্ম বুদ্ধি কৌশল দ্বারা মান্যমান হইতে চেষ্টা করে। কিন্তু তন্মধ্যে যে ব্যক্তি অন্যের সত্ব গ্রহণাভিলাষি হয় এবং যে তাহ। বাস্তবই করে তাহা হইতে ঘৃণার্হ ব্যক্তি আর কে আছে । S সকলেই তাহারাপন বিষয় সম্পত্তির সত্বাধিকারি, এবং যাহার প্রতি পরমেশ্বর এক প্রকারে সদয় হইয়া ধন সম্পত্তি প্রদান করিয়াছেন তাহাকে তদ্বিহীনকারী মানব এবং পরমেশ্বরের নিকট অবশ্যই ঘৃণাযোগ্য, কারণ পরমেশ্বরের নিয়ম মধ্যে প্রধান এক নিয়মই এই যে কেহ অন্য ব্যক্তির ধনাপহরণ কখনহ করিবেক না ৷ তবে তন্নিয়ম ভঙ্গকারী ব্যক্তি কি প্রকারে তাঁহার কৃপা দৃষ্টিতে পতিত হইতে সমর্থ হইবেক । বিশেষতঃ পরধনাপহরণকারী ব্যক্তি সদা সৰ্ব্বদা নিয়মসমূহ দ্বারা দণ্ডিত হওয়া ভয়ে সদা সৰ্ব্বক্ষণ ভীত থাকে তাহার মনাকাশে কদাচিৎও সুখ সুধাকরের উদয় হয় না কারণ সাধ্বস ঘন ঘটায় মুখ চন্দ্রকে সর্ব্বদা আবৃত রাখে দ্বিতীয় প্রকার কুধৰ্ম্ম বল প্রকাশপূর্ব্বক অন্য ব্যক্তির ধন গ্ৰহণ করা। এবন্তুকারাচরণও পরমেশ্বরের নিয়ম বহির্ভূত, রামায়ণ পুস্তকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ যে মহা পরাক্রমশালী রাবণ রাজা পর ধনাপহরণপূর্ব্বক দিন যামিনী ক্ষেপণ করিতেন কিন্তু অযোধ্যাপতি রামচন্দ্র দ্বারা পরিশেষে সবংশে নির্ব্বংশ হইলেন এবং তাঁহার বিপুল অশ্বৈর্য্য সকল অন্ততঃ তাঁহার শত্রুর হস্ত গত হইল । পরন্তু পরধনাপহারক ব্যক্তির নানা প্রকার চিন্তাসমূহ রজনীযোগে তাঁহার শয়নাগারের চত্তষ্পার্সে ভুমণ করিয়া তাহাকে বিশ্রাম সুখ হইতে বিরত করে। যেমন পরানিষ্টকারী শাদুল বিশ্রাম সুখে প্রবর্ত্ত হইলে ক্ষুদ্র বস্তু পতন মাত্রেই সুসুপ্তিহারা হয়, তদ্রূপ পরধনহরণ কারী ব্যক্তির কর্ণ কুহরে কিঞ্চিন্মাত্র শব্দ প্রবেশ করিলেই তাহার বিশ্রাম নষ্ট হয় । কুধর্ম্মের মধ্যে তৃতীয় প্রকার দোষ মিথ্যাচরণ । এই ভূমণ্ডলে অত্র প্রকার দোষ তুল্য পরমেশ্বরের ক্রোধ দৃষ্টি ভাগি করা আর কোন বস্তুই নাই, ইংরেজী শাস্ত্ৰে মহাবিচক্ষণ জ্ঞানী |